আমরা বাংলাদেশে যারা মোবাইল ব্যবহার করি তাদের জন্য রিচার্জ বরাবরই একটি খারাপ অভিজ্ঞতা। যখন সরনিম্ন ৩০০/- টাকার কার্ড ছিল, তখন খুচরা বিক্রেতারা ৩০৫/- কোন কোন ক্ষেত্রে ৩১০/৩১৫ টাকাও নিত। মোবাইল কোম্পানিগুলো বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করত। পরে আসতে আসতে ৫০/- টাকা, ১০/- টাকার কার্ড ইস্যু করলো কোম্পানিগুলো। সর্বশেষ আমরা flexiload এর যুগে আছি, যেখানে একজন কাস্টমার সর্বনিম্ন ১০/- থেকে যেকোনো অংকের টাকা রিচার্জ করতে পারেন।
কোম্পানিগুলো যে অংকের কার্ড বা যে প্রকারের রিচার্জ সুবিধা চালু করুক না কেন, আমাদের খুচরা বিক্রেতা ভায়েরা সবসময় ঘি খেয়ে চলেছেন। তারা ৩০০ টাকার কার্ডে ৩০৫/৩১০ টাকা, ৫০ টাকার কার্ডে ৫২ টাকা, ১০ টাকার কার্ডে ১২ টাকা নিয়েছেন। সবশেষ লোডের যুগেও তারা ৩০ টাকা পর্যন্ত রিচার্জে ২ টাকা করে বেশি আদায় করেন। ব্যপারটা কোন ক্রেতাই ভালো মনে নেন না। কিন্তু অনিয়মই আমাদের নিয়মে পরিনত হয়ে গেছে, সুতরাং আমরা সবাই বিনা বাধায় টাকা দিয়ে যাচ্ছি।
অতি সম্প্রতি মোবাইল কোম্পানিগুলো সুকৌশলে গ্রাহকের পকেট কেটে এসব খুচরা বিক্রেতার পকেট ভারী করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। প্রায় প্রতিটি কোম্পানি বিভিন্ন অফার দিয়েছে যেগুলো ২৯, ৩৯, ৭৯ টাকায় চালু হয়। কিন্তু কেন? এগুলো কি ৩০, ৪০, ৮০ টাকায় চালু করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত? আমিতো আমার সিমটা কেনার সময় একটা প্যাকেজ একটিভ করেই রেখেছি। তারপরও আবার flexiload করে প্যাকেজ উপভোগ করতে হবে কেন? আসলে কোম্পানিগুলো এই অফার গুলো চালু করেছে গ্রাহকের পকেট কেটে খুচরা বিক্রেতাকে খুশি করার জন্য। আমি এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জায়গা থেকে ২৯, ৩৯, ৭৯ টাকা রিচার্জ করিয়েছি, কিন্তু কোথাও থেকে ১ টাকা ফেরত পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। আমার বিশ্বাস আমার এই ব্লগের কোন বাংলাদেশী পাঠকের সেই সৌভাগ্য হয়নি। একটু হিসাব করুন, একজন খুচরা বিক্রেতা যদি এরকম ১০০০টি রিচার্জ করে, তাহলে প্রতিদিন কত টাকা ওই খুচরা বিক্রেতা অবৈধভাবে আয় করে। কোম্পানিগুলো কমিশন তো দেয়ই। আমাদের পকেট কেটে খুচরা বিক্রেতাদের দিয়ে কোম্পানিগুলো কি পাচ্ছে বলতে পারেন?
No comments:
Post a Comment